বিজ্ঞান -আধ্যাত্মিকতার মিলনক্ষেত্র ভারত
Updated: Aug 9, 2019
ভারত, যেখানে বিজ্ঞান আর আধ্যাত্মিকতার মিলন ঘটেছে, শুধুমাত্র মহামানবদের মাতৃভূমি নয়, উদ্ভাবন এবং আবিস্কারের জন্মস্থান। ভারতের কয়েকটি অবিশ্বাস্য আবিষ্কার, যা সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করেছে।
১) জিরো
‘শূন্য’ প্রতীক এবং গাণিতিক সমাধানে ভারতীয়রা প্রথম ডিম্বাকৃতির চিহ্ন ব্যবহার করত। জিরো-র মূল্য আধুনিক বিশ্বের থেকে অবিচ্ছেদ্য। আর্থিক হিসেব থেকে রকেট লঞ্চের কাউন্ট ডাউন, জিরো (শূন্য ) ছাড়া অসম্ভব।
2) আয়ুর্বেদ
এটি ৫০০০ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতের একটি উদ্ভাবনী ঔষধ। আয়ুর্বেদ আক্ষরিকভাবে জীবনের বিজ্ঞান কে বিশ্লেষণ করেছে। রোগের প্রতিরোধে আয়ুর্বেদ একটি সম্পূর্ণ নিরাময় কৌশল। প্রকৃতি দ্বারা সরবরাহিত বিভিন্ন রোগের প্রতিকার সম্পর্কে কথা বলা, এটি মানবজাতির জন্য সত্যিই একটি বর।
3) অস্ত্রোপচার
মহর্ষি সুশ্রুত একজন প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসক ছিলেন, যার গবেষণা আধুনিক চিকিৎসার ধরনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তিনি সুশ্রুত সংহিতা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন যেখানে ছানি, কুষ্ঠ ও অন্যান্য একাধিক বিষয়ে নির্দেশিকা, তথ্য ও পদ্ধতি তুলে ধরেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন পথপ্রদর্শক ।
4) প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়
৭০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে অবস্থিত তক্ষশিলা। বলা হয় এটি বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি , ৩০০ বক্তৃতা হল, ল্যাবরেটরিজ, একটি লাইব্রেরি এবং জ্যোতির্বিদ্যা গবেষণার জন্য একটি বিশাল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ছিল। চীনা পর্যটক হিয়েন সাং তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন যে এখানে ১০,০০০ ছাত্র এবং ২০০ জন অধ্যাপক ছিলেন।
5) শ্যাম্পু
শাম্পু ভারতীয় বংশোদ্ভূত শব্দ চ্যাম্পো থেকে উদ্ভূত হয় , যার আক্ষরিক অর্থ প্রধান ম্যাসেজ। মুগল সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে মাথা স্পা হিসেবে এটি চালু হয়।
6) বাটন
২০০০ সাল থেকে সিন্ধু ভ্যালির সভ্যতায় রঙিন পাথরে তৈরি করা শোভাময় বোতামগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিছু বোতাম জ্যামিতিক আকার বিশিষ্ট ছিল ।
7) ত্রিকোণমিতি
ত্রিকোণমিতি ভারতে উদ্ভূত । এটি ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানে গভীরভাবে ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম শতকের শেষভাগে আর্যভট্টের বর্ণনায় এর উল্লেখ আছে , কিন্তু মনে করা হয় এর অনেক আগেই ত্রিকোণমিতির ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তী কালে ষষ্ঠ শতকের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওয়ারহামিহিরা কয়েকটি মৌলিক ত্রিকোণমিতিক সূত্র ও পরিচয় আবিষ্কার করেছিলেন।