ইন্টারনেট কি আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রক?
আমাদের সর্বদা সংযুক্ত জীবনধারায় প্রাসঙ্গিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে আসে : যদি একটি দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়; তার সক্রিয় প্রভাব আপনার জীবনে নাও পরতে পারে, এমন আশা কি করা যায়?
অনেক মানুষের কাছে ইন্টারনেট ছাড়া কয়েক ঘন্টা অভাবনীয়। আমাদের জীবনে এই পরিষেবা রক্ত প্রবাহের মতো প্রবাহিত হচ্ছে যা জীবনের প্রায় প্রত্যেকটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমার অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট।
কিন্তু ইন্টারনেট অলঙ্ঘনীয় নয়। সময়ের প্রসারতায় পদে পদে সাইবার আক্রমণের এক সম্ভাবনা আছে। ক্ষতিকারক হ্যাকার সফটওয়্যার এর লক্ষ্যবস্তু হতে পারে আপনার রাউটার, যা আনার ইন্টারনেট পরিষেবাকে স্থবির করে দিতে পারে।
গভীর সমুদ্র তলদেশ দিয়ে ইন্টারনেট ট্রাফিক মহাদেশগুলির মধ্যে যে সংযোগ স্থাপন করেছে তা ছিন্ন হতে পারে যদি সেই তার কোনও ভাবে ছিড়ে যায় । ২০০৮ সালে, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মানুষ ইন্টারনেট বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়। ইন্টারনেটের শাটডাউনের ফলে ২০১৫-১৬ সালে ভারত ৯৬৮মিলিয়ন ডলার (৬৪৮৫ কোটি টাকা) ক্ষতি করে (সূত্র: ইকনমিক টাইমস)
অন্যভাবে বললে যদি ইন্টারনেটের ব্যবহার না থাকতো , তবে হয়তো মানুষ অনেক বেশি সামাজিক এবং বন্ধু ও পরিবারের সংস্পর্শে থাকতে পারতো । সাময়িক ইনটারনেট সংযোগ হারানোর ফলে ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ এর পরিবর্তে একে অপরের সাথে সাক্ষাত বেশি হয়েছিল । কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশের কাছেই এটি ছাড়া একদিনও অন্ধকার মনে হয়, অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়। আশা রাখি এই অবস্হা থেকে আমরা শীঘ্রই বেরিয়ে আসতে পারব।