অনেক বড় আবিষ্কার যা সৃষ্টি হয়েছে কোনও পূর্ব-পরিকল্পনা ছাড়াই
Updated: Aug 9, 2019
“Necessity is the mother of inventions”- মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার তাগিদ মেটাতে কয়েক দশক ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফলে পৃথিবীর অনেক আশ্চর্যজনক জিনিসের আবিষ্কার ঘটেছে। কিন্তু এক্স-রে থেকে প্লাস্টিকের মত অনেক বড় আবিষ্কার হয়েছে কোনও পূর্ব-পরিকল্পনা ছাড়াই এবং তারা সময়ের সাথে চলতে শুরু করেছে।
জন ওয়াকার ইংল্যান্ডের উত্তরে স্টকটন-অন-টিসে তার দোকানের ফার্মাসিস্ট ছিলেন, তাঁর অবসর সময় তিনি বাড়িতে প্রায়ই বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় ব্যস্ত থাকতেন। ১৮২৬ সাল, বন্দুকের জন্য দাহ্য মিশ্রণ তৈরির প্রত্যাশায় তিনি ব্যস্ত ছিলেন , একদিন দুর্ঘটনাক্রমে মিশ্রণ লাগানো লাঠিটি ফায়ারপ্লেসের ভেতরে ঢুকে যায়। বিবিসির সুত্র অনুযায়ী, লাঠিটি থেকে হঠাৎ আগুনের শিখা জ্বলে ওঠে , যা বিশ্বের প্রথম দেশলাই কাঠি বলে মনে করা হয়।
১৮৩০-এর দশকের প্রথমদিকে প্রাকৃতিক রাবার দিয়ে তৈরী পণ্যগুলি বিক্রি হওয়ার পরেই রাবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কিন্তু ওয়াটারপ্রুফ ব্রাজিলিয়ান গামের জন্য এই রাবার দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ঠান্ডায় পাথরের মত শক্ত এবং তাপমাত্রা বাড়লে গলে যেতে লাগল, যার ফলে এটি ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাতে থাকে। একজন আমেরিকান, চার্লস গুডিয়ার, এই সমস্যা দূর করার জন্য ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষা চালিয়ে যান, ১৮৩৯ সাল, সিনথেটিক রাবারের আবিষ্কার হয়। টায়ার থেকে জুতো, আধুনিক জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে ওঠে ।
১৮৫৩, আমেরিকার শেফ জর্জ ক্রাম নিউইয়র্কের রেস্টুরেন্টে একজন গ্রাহকের জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করেছিলেন, গ্রাহক অভিযোগ করেন সেটা যথেষ্ঠ ক্রিসপি(crisps) ছিল না । তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের পিস গুলি আরও পাতলা করে কেটে এবং অতিরিক্ত ফ্রাই করে পরিবেশন করেন । ক্রামের এই রেসিপি অন্যান্য গ্রাহকরাও পছন্দ করতে শুরু করলেন। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সুত্র অনুসারে, শেফ ক্রাম পরবর্তীকালে নিজের রেস্টুরেন্ট তৈরী করেছিলেন। ১৯২০-এর দশকে নিজের ব্র্যান্ডে বিক্রি শুরু করেন। অবিশ্বাস্যভাবে এটি জনপ্রিয় স্ন্যাকস হয়ে উঠেছে।
ইতিহাসের অতিরিক্ত তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকান রসায়নবিদ ডঃ জন পেবার্টন তার মাথাব্যথা নিরাময়ের জন্য একটি ফরাসি মাদক কোলা তৈরী করেছিলেন। ১৮৮০-এর দশকে আটলান্টায় আন্দোলনের ফলে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করার ফলে কোলা থেকে অ্যালকোহল বাদ দেওয়া হয়। পরে সোডা জলের সাথে মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়। তৈরী হয় কোকাকোলা(Coca-Cola), যা সকলের মন জয় করে নেয়।