এই বার আসি – ধূর্জটি সেনগুপ্ত
Updated: Aug 9, 2019
( কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে স্মরণ করে)
জন্ম এবং পুরুষ
ধীরে ধীরে
যেতে যেতে
আজ আমি একবার তুমি
আমরা সকলেই।
কে যায় এবং কে কে
এখানে সেই অস্থিরতা
কীসের জন্য?
মানুষ কি ভাবে মরে
পাতার শোকে ছায়ামরীচের বনে
শবযাত্রী সন্দিগ্ধ
ও চির প্রণম্য অগ্নি
কার কারনেশন
কলকাতার ভোরে।
শৈশবস্মৃতি-ঝর্ণা, মুকুর, অন্ধকার শালবন
ঝাউয়ের ডাকে
যেতে যেতে হৃদয়পুর
সুবর্ণরেখার জন্ম
ধীরে ধীরে
সে, মানে একটা বাগান ঘেরা বাড়ি
হলুদ বাড়ি
মজা হোক- ভারি মজা হোক
অবণী বাড়ি আছো?
এখানে সেই অস্থিরতা।
আমি সেচ্ছাচারী
আমি ভাঙায়গড়া মানুষ
মুঠোয় ভরা রঙ-বেরঙ টিকিট
সুখে আছি
আমরা দুজনে ছড়িয়ে বসেছি
একদিন সব হবে চাঁদের দেশে
এবার আমি ফিরি
নিঃশব্দ চরণে প্রেম
কিছুক্ষণের জন্যে
সুসময় কেন যাবো?
কবিতার তুলো ওড়ে
মাথার ওপরে অ্যালুনিয়ামের চাঁদ
ভাত নেই, পাথর হয়েছে
জামা কতদিনে ছেঁড়ে
ভিক্ষা চায় ছেলেটা
মানুষ দেখে ভয় পেয়েছে
পরিত্রাণ চাই-
জানে, ভেঙে দিলে গড়া যায়
একটি জন্মে
বলো ভালোবাসা
পুরানো নতুন দুঃখ
যদি পারো দুঃখ দাও
কবিতার সত্যে।
এবার হয়েছে সন্ধ্যা
মনে পড়লো
যখন বৃষ্টি নামলো
অনন্তকুয়োর জলে চাঁদ পড়ে আছে।
পাখি আমার একলা পাখি
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।
শব্দের ঝর্ণায় স্নান
জানিনা কোথায় শব্দ চলে গেলো
তাকে ডাকি
কেই নেই
এক হতচ্ছাড়া যুদ্ধ চাই
কষ্ট হয় কিছুক্ষণের জন্য
পরিত্রাণ চাই
তুমি আছো সেই ভাবেই আছো
মানুষের মধ্যে আছো।
বেঁচে আছি
শিকড়ের মতো, একা।
ধূর্জটি সেনগুপ্ত