ডিএনএ টেস্ট কিট(পর্ব-১) – দালিয়া
পর্ব- ১
প্রতিদিনের অভ্যাসমত রুদ্র সকালের ব্রেকফাস্ট সেরে ঘরের ভিতর থেকে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বলল, ‘ মা আসছি’।
রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে রুদ্রর মা বলল, ‘সাবধানে যাস, সময়মত লাঞ্চ করে নিস’।
‘ভাগ্যিস মনে করালে’, বলে টেবিলের ওপর থেকে লাঞ্চ বক্সটা নিয়ে রুদ্র দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল।
সকাল থেকেই মনটা খামখেয়ালী করে চলেছে। মন চলেছে মনের মতো, আমি চলেছি আমার মত। কী যে ভাবছি? কোন কথা যে ভাবছি? কেন ভাবছি? বাড়িতে আজ একটা সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা ভেবেছি, কিন্তু না হলেই বা ক্ষতি কী? না…সারপ্রাইজটা দিতেই হবে, ব্যাপারটা বেশ মজার হবে। এসব ভাবতে ভাবতে বাসটা কখন যেন অফিসের কাছে পৌঁছে গেছে খেয়াল করেনি রুদ্র।
বছরখানেক হল বাবা অবসর নিয়েছে। এখন বাড়িতেই ব্যাস্ত থাকে নিজের ফুল গাছ নিয়ে। পাঁচিলের ওপারে রাস্তার ঠিক পাশেই মস্ত বড় একটা খেলার মাঠ, মাঠের ঠিক ধার বরাবর কদম গাছ উঠেছে, মাথা ঠেলে খোলা মাঠের দিকে এগিয়ে চলেছে। কয়েকদিন হল কদম গাছটার গোড়া থেকে হঠাৎ একটা পেয়ারা গাছের চারা উঁকি দিচ্ছে, যেন একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
রুদ্ররা তিন ভাই, এক বোন। বোন সমান্থা সবথেকে ছোট, এবছর মাধ্যমিক পাশ করে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে। রুদ্রর নিচেই মিরাজ, লেখাপড়াতে বরাবরই স্কলার ছিল, গুগল-এর হয়ে সফটওয়ার ডেভলপার এর কাজ করে। সমান্থার ওপরে সায়ন্তন, কলেজে সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র।
ক্রমশঃ…